ইনসুলিন গাছ (Costus Igneus)

(0 reviews)
Brand
Alo's Food

Inhouse product


Price
৳650.00 - ৳1,000.00 /পিস
পিস
Quantity
(10000 available)
Total Price
Share

Reviews & Ratings

0.00 out of 5.0
(0 reviews)
There have been no reviews for this product yet.

ইনসুলিন গাছ (Costus Igneus)


ক্যাটাগরি: অর্গানিক চারা গাছ


বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে “ইনসুলিন গাছ” একটি বহুল আলোচিত বিষয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ আর এই ক্ষেত্রে ইনসুলিন গাছ বিশেষ উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে এই গাছের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে কারণ এর প্রাকৃতিক উপকারিতা ও সহজলভ্যতা।
বিভিন্ন ধরনের গাছের ভেষজ উপকারিতা আমাদের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে। তবে ইনসুলিন গাছ এর মধ্যে অন্যতম যা বিশেষ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।


ইনসুলিন গাছের পরিচয়


ইনসুলিন গাছ হলো একটি বিশেষ ভেষজ উদ্ভিদ যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
এর বৈজ্ঞানিক নাম Costus igneus যা কস্টাস প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এটি সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়।
তবে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এর চাষ করা হচ্ছে। ইনসুলিন গাছ দেখতে বড় ও সবুজ পাতা বিশিষ্ট একটি উদ্ভিদ।
বাংলাদেশে এটি সাধারণত বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে পাওয়া যায়।
এই গাছের পাতা এবং কাণ্ডে এমন সব রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।



গাছটি মূলত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হলেও এখন আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাথে এর সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ইনসুলিন গাছের চাহিদা বাড়ছে কারণ এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।


ইনসুলিন গাছের উপকারিতা


ইনসুলিন গাছের মূলত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হলেও এর আরও অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। এর প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:


রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: ইনসুলিন গাছের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এর পাতায় থাকা রাসায়নিক উপাদান “করোসোলিক এসিড” রক্তের গ্লুকোজ স্তর নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এটি প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিনের মতো কাজ করে ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।


ডায়াবেটিস রোগীদেরজন্য বিশেষভাবে উপযোগী:

ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ইনসুলিন গাছের পাতা অন্তর্ভুক্ত করলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এটির পাতা সরাসরি খাওয়া যায় কিংবা রস করে পান করলেও কার্যকরী হয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পাতা খেলে ডায়াবেটিসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।


হজম শক্তি বৃদ্ধি:
ইনসুলিন গাছ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এর পাতা হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সহায়ক।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:


এই গাছের উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। এটি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও উপকারী কারণ এর প্রাকৃতিক উপাদান রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে।


অন্যান্য উপকারিতা:


ইনসুলিন গাছের আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে যেমন কোলেস্টেরল কমানো, প্রদাহ প্রতিরোধ এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা। নিয়মিত এই গাছের পাতা সেবনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


ইনসুলিন গাছের পাতা খাওয়ার নিয়ম


ইনসুলিন গাছের পাতা সরাসরি খাওয়া যায় তবে এর নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পাতা খেলে তা স্বাস্থ্যকর ফলাফল দিতে পারে। নিচে এর সঠিক নিয়মাবলি আলোচনা করা হলো:


প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-৩টি তাজা ইনসুলিন পাতার রস করা বা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

পাতার গুঁড়া বানিয়ে তা পানি বা গরম চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করা যায়।

খাওয়ার পর পরই আরও কিছু খাবার খাওয়া উচিত নয়, অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

গর্ভবতী নারী এবং শিশুরা এই পাতা সেবন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


ইনসুলিন গাছ চাষাবাদ পদ্ধতি


ইনসুলিন গাছের চাষাবাদ করা খুব সহজ এবং এটি বাংলাদেশে সহজেই চাষযোগ্য। এই গাছ সাধারণত গরম ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভালো জন্মায় যা বাংলাদেশের জন্য আদর্শ। নিচে চাষাবাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করা হলো:


মাটি ও জলবায়ু: এই গাছ হালকা উর্বর ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতে ভালো জন্মায়।


বাংলাদেশে এই গাছের চাষ করার জন্য অনেক কম খরচে এবং স্বল্প পরিশ্রমে ভালো ফল পাওয়া যায়। জলবায়ু গরম ও আর্দ্র হলে ইনসুলিন গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।


চারা রোপণ:


ইনসুলিন গাছ সাধারণত চারার মাধ্যমে রোপণ করা হয়। চারাগুলো স্থানীয় নার্সারি থেকে সংগ্রহ করা যায়।
রোপণের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত মাটিতে ৩০-৪০ সেমি দূরত্বে গাছের চারা রোপণ করতে হবে।


সেচ ও যত্ন:


গাছের জন্য পর্যাপ্ত পানি দেওয়া প্রয়োজন। তবে মাটি যেন খুব বেশী স্যাঁতসেঁতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি ২-৩ দিনে একবার পানি দেওয়া উচিত।


ইনসুলিন গাছের চিকিৎসা ব্যবহার


ইনসুলিন গাছের চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রধানত এর পাতা ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে সুপরিচিত।
তবে আধুনিক গবেষণায় এই গাছের বিভিন্ন অংশের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাচ্ছে।


নিচে ইনসুলিন গাছের চিকিৎসাগত ব্যবহারগুলো তুলে ধরা হলো:


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:


ইনসুলিন গাছের মূল উপকারিতা হলো এর পাতার নির্যাসের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
এর পাতা ইনসুলিনের মতো কাজ করে যা শরীরে শর্করার স্তর কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এই গাছের পাতা খেলে তাদের রক্তে শর্করা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।


আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার:


আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিদ্যায় এই গাছের ব্যবহার বহু পুরানো। ডায়াবেটিস ছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রদাহ কমানোর জন্যও এই গাছ ব্যবহৃত হয়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর পাতার রস বা চূর্ণ ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ওষুধ তৈরি করা হয় যা শরীরের নানা সমস্যার প্রতিকার করতে সক্ষম।


পাতা ও কাণ্ডের নির্যাসের ব্যবহার:


ইনসুলিন গাছের পাতার পাশাপাশি এর কাণ্ড থেকেও নির্যাস তৈরি করা হয় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী।
এর পাতা দিয়ে তৈরি করা ওষুধ বা রস দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করে নানান শারীরিক সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব।


ইনসুলিন গাছের সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া


যদিও ইনসুলিন গাছ প্রাকৃতিকভাবে খুব উপকারী একটি উদ্ভিদ তবে অতিরিক্ত ব্যবহার বা ভুল পদ্ধতিতে সেবন করলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
তাই এর সঠিক ব্যবহার জানা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।


নিচে ইনসুলিন গাছের সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো আলোচনা করা হলো:


অতিরিক্ত পাতা সেবনে শারীরিক সমস্যা: ইনসুলিন গাছের পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে শরীরে কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি কমে যেতে পারে যা হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা নিম্ন রক্তশর্করা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই পরিমিত মাত্রায় এই পাতা সেবন করা উচিত।


গর্ভবতী নারীদের জন্য সতর্কতা:


গর্ভবতী নারী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ইনসুলিন গাছের পাতা সেবন করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই এই সময়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।


এলার্জি এবং হজম সমস্যা:


অনেক মানুষের ক্ষেত্রে ইনসুলিন গাছের পাতার কারণে এলার্জি বা হজম সমস্যা হতে পারে।
যারা নতুন করে এই গাছের পাতা সেবন শুরু করেন তাদের শরীরে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার বন্ধ করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


সতর্কতা:


ইনসুলিন গাছের পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় কারণ অতিরিক্ত সেবন করলে এটি শরীরের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।
নিয়মিত ও পরিমিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

 

কেন আমাদের উপর আস্থা রাখবেন ?


প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ উপাদান,

আলো'স ফুড  কেবলমাত্র উচ্চমানের, রাসায়নিক মুক্ত ভেষজ উপাদান ব্যবহার করে।


গবেষণাভিত্তিক ফর্মুলা:


ইনসুলিন গাছের চারা আলো'স ফুড এর নিজস্ব নার্সারিতে উৎপাদিত। 


কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই,

অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা স্টেরয়েড নেই – সম্পূর্ণ নিরাপদ ও প্রাকৃতিক। 

Frequently Bought Products

Product Queries (0)

Login Or Registerto submit your questions to seller

Other Questions

No none asked to seller yet

আলোস ফুড সম্পর্কে

All categories
Flash Sale
Todays Deal